যৌন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

 

যৌন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

যৌন শিক্ষা একটি অত্যান্ত গুরুত্ত্বপুর্ণ বিষয়। এই শিক্ষার অভাবে নানা রকম রোগ, পারিবারিক অসান্তি এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদও হতে পারে। যৌন বিষয় একটি প্রকৃতির স্বাভাবিক বিষয়। এই বিষয় সম্পর্কে প্রত্যেক মানুষের সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। একে লজ্জার বিষয় মনে করে এই শিক্ষা থেকে বিরত থাকা উচিৎ নয়। তবে যৌন শিক্ষার ক্ষেত্রে সবার প্রথমে যে শিক্ষাটি মনে রাখতে হবে তা হল, নিজের বিবাহিত স্ত্রী বা স্বামী ব্যতিত অন্য কারো সঙ্গে যৌন বিষয়ক কিছু করা বা সহবাস করা যাবে না। এটি অত্যন্ত খারাপ কাজ। ধর্মে একে খুব বড় ধরণের অপরাধ বা গোনাহের কাজ বলা হয়েছে। যৌন মিলনের মাধ্যমে মানুষের জন্ব হয়। যা না হলে আমার

আপনার জন্বই হতনা। সেই বিষয়কে ছোট করে দেখার কোন অবকাশ নেই।

যৌন সঙ্গমের সময় প্রথমে করনিয় :
যৌন সঙ্গমে যাওয়ার সময় পুরুষের করনিয় হল, প্রথমে তার স্ত্রীকর যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করা। এর জন্য  স্বামীকে স্ত্রীর ঠোট, গাল, কপাল, চোখ, গলায়, দুই স্তনের মাঝ খানে প্রভৃতি স্থানে চুম্মুন করা, স্ত্রীর স্তনে বার বার চাপ দেওয়া।
একটা কথা মনে রাখতে হবে। নাড়ীর যৌন উত্তেজনা পুরুষের চেয়ে ছয় গুন বেশি হলেও নাড়ীর যৌন উত্তেজিত হতে সময় লাগে।

স্ত্রীকেও তার স্বামীর উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে হবে।

যৌন জীবন সুন্দর ও আকর্ষনীয় করতে স্ত্রীর করণীয় :
স্বামীর কাছে স্ত্রী সমস্ত দেহ দেখাতে পারে এটা ঠিক কিন্ত্ত, স্ত্রীর উচিত তার যৌনাঙ্গ সব সময় যেন স্বামী দেখতে না পারে, সহবাসের সময় এবং মাঝে মাঝে যেন দেখতে পায়। এতে করে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর আকর্ষণ বেশি থাকবে।

নারী-পুরুষের যৌন-মিলনের বিভিন্ন আসন :
দাম্পত্য জীবন সুখ ও আনন্দের করতে হলে যৌন-মিলনে বৈচিত্র্য আনা দরকার, এর জন্যে যৌন-মিলনের বিভিন্ন সময় এক এক রকম আসন গ্রহণ করা যেতেপারে। দেখবেন, প্রতিটি আসন যেন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়, নতুনত্বের স্বাদ থাকে।

যৌন-মিলনের সময় বীর্যপাত কেন হয় ?

১। ভাস ডেফাসন্স  ২। এপিভিডিমিস   ৩। শুক্রবীজাণু সঞ্চারক নালী। বীর্য, থাকে লিঙ্গ থেকে অনেক দূরে দু’টি পৃথক আধারে। যৌন-মিলনে সেই বীর্য বীর্যধার থেকে বেরিয়ে আসে। আমরা সবাই জানি যে, সুস্বাদু খাবার দেখলে আমাদের জিভ দিয়ে জল পড়ে থাকে। কিন্ত্ত কেন ? সবাই ধরে নেয়, আমাদের জিভের মধ্যে অনেকগুলো স্পর্শকাতর স্নায়ুতন্ত্র মিলিত হয়েছে। সুস্বাদু খাবার দেখলে সবার মধ্যে এক ধরনের আবেগের সঞ্চার হয়। এই আবেগে কোমল স্নায়ুগুলোর ওপর চাপ পড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে এক ধরনের লালসার জিভ থেকে ক্ষরণ হয়, তাই ওভাবে জিভ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। লালসা জাগার সময় যে আবেগ সঞ্চার হয়, জিভের পানির আকারে তা না পড়ে গেলে স্নায়ুতন্ত্রগুলোর জ্বালা কমে না। তাই লালসার তাড়নায় আমরাও কষ্ট পাই। অর্থাৎ জিভের পানি জিভের স্নায়ুর উত্তেজনা নিবৃত্তি। তেমনি বীর্যপাতের ফলে জননতন্ত্রের উত্তেজিত স্নায়তন্ত্রে নিবৃত্তি হয়। যতক্ষণ না বীর্যপাত হচ্ছে ততক্ষণ কামোত্তেজনার নিবৃত্তি হয়না।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *